বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


‘আল্লাহর জমীনে তার দ্বীন প্রতিষ্ঠায় প্রবাসীদেরও ভূমিকা রাখতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় আর্ন্তজাতিক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদ বলেছেন, খেলাফত শাসন ব্যবস্থা ছাড়া মানতার মুক্তি ও পৃথিবীতে শান্তির আশা করা যায় না। তাগুতের হাত থেকে বিশ্বব্যাপী মজলুম মুসলমানদের একমাত্র রক্ষাকবজ খেলাফত প্রতিষ্ঠায় প্রবাসীসহ সকলেই নিজেদের জান ও মাল দিয়ে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেক প্রবাসীর নিকট খেলাফতের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বাংলাদেশে চলমান কাদিয়ানী আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, কাদিয়ানীরা কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে অমুসলিম ও কাফের। সুতরাং বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় দেশের মুসলমানদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে উঠলে এর দায়বার সরকারকে বহন করতে হবে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস) কাতার শাখার মজলিসে শূরার অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শাখা সভাপতি মাওলানা ফরিদ আহমদ ফরিদীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা মুশাহিদুর রহমান ও সহ- সেক্রেটারী মাহবুব আব্দুল মতিনের যৌথ পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি যথাক্রমে- মুফতি সিরাজুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা আব্দুল বারী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা নোমান ফয়েজী, সহ সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, হাফেজ মাওলানা মুখলিসুর রহমান, এতে বায়তুলমালের রিপোর্ট পেশ করেন সহ বায়তুলমাল সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক রিপোর্ট পেশ করেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ইত্তেহাদ শিল্পী গোষ্ঠীর পরিচালক বিশিষ্ট শিল্পী হাফেজ মাওলানা মাসুদ কায়সার, এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কাতারের বিভিন্ন শাখার দায়িত্বশীল মাওলানা হাবীবুর রহমান, আলখোর শাখা, হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান, শাহানিয়া শহর শাখা, মাওলানা হারুন বিন আব্দুল হক রহঃ ও মাওলানা মাহবুবুর রাহমান, শাহানিয়া রেইস শাখা, হাফেজ মাওলানা মইনুদ্দিন, নিউ রাইয়্যান শাখা, মাওলানা শরীফ উদ্দীন নাজমা শাখা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের সাংগঠনিক রিপোর্ট ও ২০১৯ সালের কর্মপরিকল্পনা পেশ করেন সংগঠনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা মুশাহিদুর রহমান। মানব সেবা ও সমাজ কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখায় মাওলানা ফয়েজকে ক্রেস্ট প্রদান করে ইত্তেহাদুল মুসলিমীন, কাতার। পরিশেষে দুআ ও নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্ত হয়।

আরআর


সম্পর্কিত খবর