শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


রাষ্টীয়ভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে: ছাত্র জমিয়ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ছাত্র জমিয়তের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ কাসেমী বলেন, পঞ্চগড়ের আহমদনগরে মুসলিম নামধারী কাদিয়ানীরা ‘জাতীয় ইজতেমা’র নামে মুসলমানদের ঈমানহরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। ৯০% মুসলমানের দেশে কাদিয়ানীদের কোন কার্যক্রম চলতে পারে না।

৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার সকালে জমিয়া মাদানিয়া বারিধারায় ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী'র মাসিক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, মানবজাতির ইহকাল ও পরকালের মুক্তির পথ দেখাবার জন্য যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। তাদের মধ্যে সর্ব যোগের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তার পরে আর কোন নবী আসবে না। ঈমানদান হওয়ার জন্য একথার বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা খতমে নবুয়াত অস্বীকার করে তারা কাফের৷ তারা মুসলমান হতে পারে না। বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ৷ এ দেশের মুসলমানগণ এবং ছাত্রসমাজ রাসুল সা. কে নিজেদের প্রানের চাইতেও বেশি ভালোবাসে। ইজতেমার নামে তাদের কোন সড়যন্ত্র মুসলমানগণ মেনে নিবে না।

নেতৃবৃন্দ মাননীয় রাষ্ট প্রধান ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অনতিবিলম্বে পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিতব্য কাদিয়ানিদের ইজতেমা’সহ বাংলাদেশে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে৷ কানিয়ানিদের পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় ছাত্র সমাজ কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে তৌহিদি জনতাকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্টে কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুলসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ৯০% মুসলমানদের রাষ্ট্র বাংলাদেশেও কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান নাদিমের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি ইমাদুদ্দীন হামদুল্লাহ, সহ সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, শাহজাহান নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ আল হাবীব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নূর হোসাইন সবুজ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুন্নবী, আখতার হোসাইন, পাঠাগার সম্পাদক নূরে আলম, কলেজ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তফা আল হাসান, সহ অর্থ সম্পাদক মাহদী হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য মাহমুদ হাসান,মহিউদ্দীন আরমান,নেয়ামতুল্লাহ, জুবায়ের, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে আগামী ১৪-১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি'১৯ (বৃহস্পতি- শুক্র ও শনিবার) হক্কানী উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে বিশ্ব ইজতেমার সফলতা কামনা করে ছাত্র সমাজসহ দ্বীনদার তৌহীদি জনতাকে শরীক হওয়ার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ