শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


মরক্কোর ‘ভাসমান’ মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মরক্কোর ‘গ্র্যান্ড মস্ক হাসান-২, বা  ২য় হাসান মসজিদ’ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় মসজিদের স্থানটি দখল করে আছে।মসজিদটির অবস্থান মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কায়।

এ মসজিদটির ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২৫ হাজার। তবে ভেতরে-বাইরে মিলিয়ে একসঙ্গে লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটিতে নারীদের জন্যও নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে।

২য় হাসান মসজিদটি ভাসমান মসজিদ নামেও পরিচিত। আটলান্টিক মহাসাগরের পাড়ে অবস্থিত এ মসজিদটিকে দূর থেকে দেখলে সাগরের উপর ভাসমান বলেই মনে হয়।

নামাজের সময় দূরের কোনো জাহাজ থেকে দেখলে মনে হয় যেনো মুসল্লিরা পানির ওপর নামাজ আদায় করছেন। কারণ, মসজিদটির এক-তৃতীয়াংশ ভিত আটলান্টিকের জলরাশিতে অবস্থিত।

আড়াই হাজার পিলারের ওপর স্থাপিত এ মসজিদ কমপ্লেক্সের মোট আয়তন ২২ দশমিক ২৪ একর।

মসজিদের আশেপাশের জায়গা সাজানোতে ব্যবহার করা  হয়েছে ১২৪টি ঝরনা ও ৫০টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি। তার কিছু কিছু আবার স্বর্ণ দিয়ে খচিত।

মসজিদটির মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার। আর মিনারের উচ্চতা ২১০ মিটার।

আছে সর্বোচ্চ ৩৩ ফুট উচ্চতার সামুদ্রিক ঢেউ সামলে নেয়ার ব্যবস্থা। সমুদ্রের পাশে অবস্থিত হলেও মসজিদের ভেতরে কোনোভাবেই যেনো সমুদ্রের গর্জন প্রবেশ যেন না করে সে ব্যবস্থাও রয়েছে।

বিশাল এই মসজিদের ভিতরে বাইরের আলো-বাতাস প্রবেশের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতি তিন মিনিট পরপর মসজিদের ছাদ খুলে যাওয়ার মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

এবং মসজিদের সাথে রয়েছে সভাকক্ষ, লাইব্রেরি, কুরআন শিক্ষালয় ও ওজুখানা । এ মসজিদটির নকশা করেছেন ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউ। এবংএ মিনারই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মিনার হিসেবে পরিচিত।

-আরএইচ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ