শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


জরুরি অবস্থা জারির হুমকি দেয়াল নির্মাণে অনড় ট্রাম্পের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মেক্সিকো সীমান্ত বরাবর দেয়াল তুলতে টাকা না দেওয়া হলে ‘জরুরি অবস্থা’ জারির পথে হাঁটবেন তিনি। শুক্রবার ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন প্রশাসনে দুই সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে শীর্ষস্তরের ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও সেখানে কোনও সমাধান বের হয়নি।

এরপরই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তুলতে প্রয়োজনীয় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার যদি কংগ্রেস তাকে না দেয়, তাহলে তিনি প্রশাসনকে ‘কয়েক মাস অথবা বছর’ আংশিকভাবে অকেজো করে রাখবেন। দরকার পড়লে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করে ওই দেয়াল তিনি তৈরি করবেনই।

বৈঠকে উপস্থিত ডেমোক্র্যাট নেতারাই ট্রাম্পের এই ‘হুমকি’র কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের রস গার্ডেনে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমি ওটা বলেছি।’ যদিও, ৯০ মিনিটের ওই বৈঠককে ট্রাম্প ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলেই দাবি করেছেন। একইসঙ্গে আপতকালীন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্টের উপর প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি কংগ্রেসের অনুমোদন এড়িয়েই ওই প্রাচীর তৈরিতে উদ্যোগী হবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘সেটাও হয়তো করে দেখতে পারি। আবার জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে কাজটা (প্রাচীর তৈরি) তাড়াতাড়ি করে ফেলতে পারি। কিন্তু সেটা হবে একটা বিকল্প রাস্তা।’

মার্কিন প্রশাসনের অচলাবস্থা কাটাতে বাজেট বরাদ্দ প্রস্তাব বিল ডেমোক্র্যাটরা পাশ করালেও তাতে প্রেসিডেন্টের ‘সাধের প্রাচীর’-এর জন্য কানাকড়িও বরাদ্দ হয়নি।

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শ্যুমার বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছি, প্রশাসনের কাজকর্ম ফের চালু করাটা জরুরি। কিন্তু তিনি প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেছেন, অচলাবস্থা আরও চলতে পারে। হয়তো কয়েক মাস অথবা বছর।’

অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠকে ছিলেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিও। তিনিও সরকারের এই অচলাবস্থা যত দ্রুত সম্ভব কাটানোর পক্ষেই জোর দেন।

পরে সাংবাদিকদের ন্যান্সি পেলোসিও বলেন, ‘আমরা ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, প্রশাসনে ফের কাজকর্ম শুরু না হলে সমাধান মিলবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সেবা খাত থেকে আমেরিকানরা বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের বেতন আটকে রয়েছে, যারা দেশবাসীকে নানা সেবা দিয়ে থাকে। শিগগিরই সমাধান না মিললে আমাদের সীমান্ত সুরক্ষাও ভেঙে পড়তে পারে।’

কিন্তু, এতকিছুতেও ট্রাম্প নিজের অবস্থান থেকে সরেননি। সাংবাদিকদের তিনি জানান, তিনি শাট-ডাউন চালু রাখতে ইচ্ছুক হলেও শেষপর্যন্ত সেটা নাও হতে পারে।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয় না, তেমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে। কিন্তু আমি প্রস্তুত রয়েছি। আমি এমন একটা সুরক্ষিত দেশ গড়তে চাই, যার সীমানার এক যৌক্তিকতা রয়েছে। আমি আগেও অনেকবার বলেছি, সীমান্ত না থাকলে দেশও থাকবে না। আমার মনে হয়, এটা (শাট-ডাউন) আরও কিছু দিন চলবে। শিগগিরই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’ সূত্র– ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজ।

কেপি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ