বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


আমার প্রস্তুতি দেখে মানুষ বলে, এমপি সাহেব নির্বাচন করে আসলেন নাকি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আতাউর রহমান খসরু : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে কয়েকজন আলেম বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন তাদের অন্যতম অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা। তিনি নির্বাচন করবেন সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে। এ আসন থেকে তিনি ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ৩ বার এবং দলীয় প্রতীকে ১ বার নির্বাচন করেন। এমপি নির্বাচিত হন একবার।

মাওলানা শাহীনূর পাশা এমপি ১৯৬৪ সালে সুনামগঞ্জের নিজ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামের পাটলী দারুল মাদরাসায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে জামিয়া কাসেমুল উলুম, সিলেট দরগাহ মাদরাসায় ভর্তি হন। ১৯৮৫ সালে সেখান থেকে দাওরা হাদিস সম্পন্ন করেন। ইসলামি ধারায় পড়ালেখা শেষ করার পর তিনি ১৯৮৭ সালে সিলেটের রাজা ডিসি হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান এসএসসি পাশ করেন এবং ১৯৮৯ সালে সিলেটের এমসি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এইচএসসির পর উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং বাংলা বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাশ করেন।

শিক্ষা জীবন শেষে রাগীব রাবেয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক পদে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি সিলেট ল’কলেজ থেকে এলএলবি করেন। ১৯৯৯ সালে এলএলবি পাশ করেন । এরপর তিনি সিলেট কোর্টে প্রাক্টিস শুরু করেন।

হজরত হাফেজ্জি হুজুরের আহবানে ছাত্র বয়সে রাজনীতিতে যোগ দেন মাওলানা শাহীনূর পাশা। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৯২ সালে ছাত্র জয়িমত গঠিত হলে তিনি প্রথম কেন্দ্রীয় সেক্রেটারির দায়িত্ব পান। যুব জমিয়ত গঠিত হলে তিনি তার কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেব দায়িত্ব পালন করছেন।

যারা দলের শেকড় কাটার চেষ্টা করছে তারা ছিটকে পড়বে: অ্যাডভোকেট শাহীনূর পাশা

অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা ১৯৯৬ সালে দলীয় প্রতীকে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এটাই ছিলো তার প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ২০০১ সালে জাতীয় সালে তিনি চারদলীয় জোটের মনোয়নে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এ নির্বাচনে প্রাথমিক ও বেসরকারি ফলাফলে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। জাতীয় গণমাধ্যমেও তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু রহস্যজনকভাবে চূড়ান্ত ফলাফলে তাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২০০৫ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে বিজয়ী হন। এরপর ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি জোটের মনোয়ন পান এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও তিনি জোটের প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু দলীয় ও জোটের সিদ্ধান্তের কারণে নির্বাচন থেকে সড়ে আসেন।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্যও তিনি প্রস্তুত। নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমার এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে জমিয়তের ছাত্র, যুব ও মূল সংগঠনের কমিটি রয়েছে। এখানে নিয়মিত কাউন্সিল হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষ্যে আমি সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছি এবং ৯০% কাজও শেষ করতে পেরেছি।’

গণসম্পৃক্ততার ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে আমি যেভাবে মানুষের পাশে থাকি নির্বাচনের এক সপ্তাহ পরে ঠিক একইভাবে তাদের পাশে থাকি। আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ আমার প্রতি সন্তুষ্ট।’

গণসংযোগমুখী কাযক্রমের বিবরণ চাইলে তিনি বলেন, ‘সারা বছরজুড়েই আমার প্রস্তুতিমূলক কাজ চলে। আমি এমনভাবে কাজ করি এবং ব্যস্ত থাকি যে, মানুষ বলে এমপি সাহেব নির্বাচন করে আসলেন নাকি?’

‘আমার মূল অংশে রয়েছে সংগঠনকে শক্তিশালী করা, এলাকার মানুষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা, সাধ্যমতো তাদের পাশে থাকা।’ যোগ করেন তিনি।

৪ বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর আপনার আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে কতোটা আশাবাদী? ‘আমি শতভাগ আশাবাদী। আমি মনে করি, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি ১২ আনা ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ!’

গাজীপুর-২ আসনে নির্বাচন করবেন গাজী আতাউর রহমান, হজ থেকে ফিরেই গণসংযোগ

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৫ আসনে ঐক্যজোট প্রার্থী মাওলানা মেহেদী হাসান


সম্পর্কিত খবর