শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


শাইখুল হাদীস ও মুফতি আমিনী : কাছ থেকে দেখা দুই মহীরুহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

shaikhul_amini_ourislam24মুহাম্মদ এহসানুল হক : সেদিন হটাৎ করেই পুরনো লেখাগুলো দেখার শখ জাগলো। সময়ে-অসময়ে লেখা অনুভুতির পাতাগুলো সযত্নে ছুয়ে দেখলাম। শব্দের নীরব রেখায় জীবন্ত হয়ে উঠলো আমার অতীত। সত্যিই ডাইরি কালের আয়না। নিয়োমিত লিখতে পারলে ভালই হতো। কিন্তু নিয়োমের গ-িতে সব সময় নিজেকে বাঁধতে পারি না। তাই আর লেখা হয়নি নিয়মিত। তবে হৃদয়ে দাগকাটা কিছু স্মৃতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম কাগজ-কালিতে। বিশেষভাবে শাইখুল হাদীসকে নিয়ে কিছুস্মৃতি।

পাতা উল্টাতে গিয়ে নজর কারলো একটি স্মতিকথা। শাইখুল হাদীস ও মুফতি আমিনী রহ.কে নিয়ে। ক্ষণিকের জন্য থমকে গেলাম। শাইখুল হাদীস ও মুফতি আমিনী দুজনের একজনও আজ আমাদের মাঝে নেই। শাইখুল হাদীস রহ, ৮ আগষ্ট ১২ আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছেন। এই বিয়োগের শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই মাত্র চার মাসের ব্যবধানে ইসলামী রাজনীতির আরেক দিকপাল মুফতি আমিনীও আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছেন।
শাইখুল হাদীস রহ. ও মুফতি আমিনী রহ.। এদেশের ইসলামী আন্দোলনের দুই কিংবদন্তি মহানায়ক। অসংখ্য আন্দোলন সংগ্রামের সফল কারিগর। স্বাধীন বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গেলেই সবার আগে চলে আসবে এ দুটি নাম। যুগ যুগ তাদেরকে স্মরণ করবে এ জাতি।
প্রায় ত্রিশ বছরের ব্যবধান আর ছাত্র উস্তাদের সম্পর্ক থাকা সত্বেও দুটি নাম চলে এসেছে পাশাপাশি, শাইখুল হাদীস মুফতি আমিনী। যেন সংগ্রামের প্রতিশব্দ। সংগ্রামের রক্ত রাঙা পথে পায়ে পায়ে হেটেছেন বলে অনন্তের পথযাত্রী হবেন এক সাথেই এমনটা হয়তো কেউ কল্পনাও করেনি।
মুফতি আমিনী রহ. এর দরসে বসার সুযোগ আমার হয়নি। ছাত্রত্বের সম্পর্ক না থাকলেও বেশ ক’বার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। বিশেষভাবে এই দুই বিখ্যাত ছাত্র-উস্তাদকে একই ছাদের নিচে দেখার সুযোগ হয়েছে অনেকবার। উস্তাদ হিসেবে যে মর্যাদা শাইখুল হাদীস রহ. করতে দেখেছি তা কোন দিন ভোলার মত নয়। কাছ থেকে দেখা এমনই একটি ঘটনার স্মৃতি মন্থন।

দুই.
সময়টা দুই হাজার ছয় বা সাত। আমি তখন রাহমানিয়ার মেশকাত জামাতের ছাত্র। বয়স কম। সঙ্গত কারণেই যে কোন ব্যাপারে উৎসাহ-উদ্দীপনা অনেক বেশি। সভা সমাবেশ মিটিং মিছিল এসবের প্রতি ছিল তখন এক রকম উম্মাদনা। শাইখুল হাদীস রহ. ঢাকার ভিতরে যেসব প্রোগ্রামে যেতেন, সঙ্গ গ্রহণের সুযোগ হাতছাড়া করতাম না। দূরের সব প্রোগ্রামে ইচ্ছা থাকলেও যেতে পারতাম না দরসের কারণে। কিন্তু ঢাকার প্রোগ্রাম হলে আর কে ঠেকায়। সবার আগে হাজির হয়ে যেতাম। এমন কি শাইখুল হাদীস রহ. যখন বাসায় যেতেন তখনও সঙ্গে যেতাম। খুব মনে পড়ে গাড়িতে উঠার সময় চোখ পরলেই বলতেন কি রে বাসায় যাবি? মাদরাসা থেকে বাসার উদ্দেশ্য বের হওয়ার সময় দেখেছেন কিন্তু এই প্রশ্নটা করেননি, এমন কোন দিন হয়নি। তখন প্রয়োজন না থাকলেও বলতাম জি যাব। হযরতকে বাসায় নামিয়ে তখনই ফিরে আসতাম মাদরাসায়। উদ্দেশ্য থাকতো একটাই, সৌভাগ্যের সময়টা দীর্ঘ করা।

এমনই একদিন। বিকেলের গোধুলি রঙ ছড়িয়ে সূর্যি মামা যখন ডুব দিলো পশ্চিমের কোন অচিনগায়ে। আমি তখন মাদরাসা থেকে বেশ দূরে। ছোট ছোট পায়ে এগুচ্ছি মাদরাসার দিকে। মাদরাসায় এসে নামাজ পাব না। আগত্য মাগরিবের পড়লাম ময়ূর ভিলার পার্শবতি নূর মসজিদে। নামাজ শেষ করে মাদরাসার এরিয়ায় পা রাখতেই দেখি শাইখুল হাদীস রহ. কোথায় যেন যাচ্ছেন। গাড়িতে সবাই উঠে পরেছে। কিন্তু গেট তখনও খোলা। শায়েখ মাঝের সিটে। পিছনের সিটে মামুন মামা আর কে যেন। আর একটা সিট তখনও খালি। আমি কোন আগপিছ চিন্তা না করেই উঠে পড়লাম গাড়িতে। কোথায় যাচ্ছেন, কখন ফিরবেন তখনও কিছুই জানি না । গাড়ির চাকা সচল হল, মামুন মামাকে জিজ্ঞাস করলাম কোথায় যাওয়া হচ্ছে। বললেন আমীনি সাহেবকে দেখতে। মনে মনে খুশি হলাম। কিছু জিজ্ঞাস না করে গাড়িতে উঠে ভুল করিনি। দারুন একটি ঘটনার সাক্ষী হবার সুযোগ এভাবে ধরা দিল।

মুফতি আমিনী সাহেব তখন স্ট্রোক করেছেন। ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি। অনেকটা গুরুতর অবস্থা। তিনি তখন রাজনৈতিভাবে খুব চাপের মধ্যে ছিলেন। শুধু তিনিই নয়। দেশের পুরো রাজনীতিই ছিল আইসিসিউতে। দেশে তখন চলছে ওয়ান এলিভিনের ঝড়। জরুরি অবস্থা চলছে। ফখরুদ্দীন মঈনুদ্দীনরা তত্বাবধায়কের আবরণে কুক্ষিগত করে রেখেছে ক্ষমতার মসনদ। ৯০ দিনের ক্ষমতাকে টেনে দিনের পর দিন লম্বা করছে। পাগলা ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে শাসন করছে দেশ। প্রতিদিন নিত্য নতুন তুঘলকি কান্ড ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ প্রথম শ্রেণির রাজনীতিবিদরা সবাই কারাগারে। দেশে তখন রাজনীতি বলতে কিছু নেই। বড় একটা শ্রেণি কারাগারে। কেউ কেউ পলাতক। বাকিরা নিরব এই হলো তখনকার দেশের অবস্থা। ইসলামি রাজনীতিবিদদের অবস্থাও তথইবচ।ajijul hak

রাহমানিয়া থেকে ইবনে সিনা হাসপাতাল দশ থেকে পনের মিনিটের পথ। আমাদের পৌছতে সময় লাগলো না। শাইখুল হাদীস রহ. তখনও হুইল চেয়ার ব্যবহার করেন। শায়েখকে নিয়ে সবাই লিফটে উঠলো। অন্যদের নিয়ে লিফট ভরে গেছে। মামুন মামা বললেন চলো আমরা সিড়ি দিয়ে উঠি। আমারা তাদের আগে চলে যাবো। প্রায় এক সাথেই আমরা পাচ তলায় গিয়ে পৌছলাম।

বজ্রকণ্ঠের অধিকারী মুফতি আমিনী তখন নীরব শুয়ে আছেন। আমার তখন মনে পড়ছে এই সেই মঞ্চ কাপানো তুখোর বক্তা মুফতি আমিনী যিনি মাত্র এক মিনিটেই জাগিয়ে তুলতে পারেন ঘুমন্ত জনতাকে। হাজার জনতার রক্তে আগুন ধরিয়ে দিতে যার মুহুর্ত সময় লাগে না। যার একটি মাত্র হুংকারেই কেপে উঠে বাতিলের মসনদ। আজ তিনি নিরব। একে বারেই নিরব।

হাতে সেলাইন লাগানো। রুমের চার দেয়ালেই লিখা রোগীর সাথে কথা বলা ডা. এর পক্ষ থেকে সর্ম্পূণ নিষিদ্ধ। পরিবেশ একেবারেই স্তব্ধ। সেখানে ছিলেন আমিনী সাহেবের ছেলে মাওলানা আবুল হাসানাত, গুলজার ভাই, আলতাফ ভাই সহ আরো অনেকে।

শাইখুল হাদীস সাহেব এসেছেন আপনাকে দেখতে, এই কথা বলার সাথে সাথে চঞ্চল হয়ে উঠলেন শয্যসায়ী মানুষটি। অর্নগল কথা বলা শুরু করলেন, যদিও ডা, এর পক্ষ থেকে কথা বলা নিষিদ্ধ। আমরাও বুঝতে ছিলাম হুজুরের কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু মুফতি আমিনী ও শাইখুল হাদীস যখন কথা শুরু করেছেন থামানোর সাধ কার??

রাজনৈতিক জীবনেও শাইখুল হাদীস আর আমিনী যদি কোন ব্যাপারে এক সাথে সিদ্ধান্ত নিলে সেটা আর রুখবার সাধ্য কারো ছিল না। তারা যখন ডাক দিতেন, জেগে উঠতো বাংলার রাজপথ। বিদ্যুৎ খেলে যেত তাউহিদি জনতার শিরায় শিরায়। আন্দোনের দাবানল ছুয়ে যেত টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। বাবরি মসজিদ লংর্মাচ থেকে দুই হাজার এক এর ফতোয়া রক্ষার আন্দোলন পযর্ন্ত তাকালে এই বাস্তবতাই আমাদের সামনে ধরা দিবে। ইসলামী দল সব সময়ই অনেক ছিল, ইসলামী দল অনেক আছে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যতগুলো আন্দোলন হয়েছে, তা এই দুজনের নেতৃত্বেই হয়েছে। এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। অন্যদের কোন অবদান নেই তা বলছি না।

আমিনী সাহেব শুয়ে শুয়েই কথা বলছিলেন, শাইখুল হাদীস হুইল চেয়ারে মাথার কাছে বসা। আমিনী সাহেব হটাৎ কেমন যেন নড়াচড়া শুরু করলেন। আমরা বুঝতে পারলাম তিনি শোয়া থেকে উঠার চেষ্টা করছেন কিন্তু পারছেন না। উস্তাদ বসা আর নিজে শুয়ে থেকে কথা বলতে এই অসুস্থ শরীরেও হয়তো তার ভাল লাগছিল না। আমি শুধু খুব অবাকই হলাম। জলদি খাদেমদের মধে কয়েক জন এগিয়ে এলো। হুজুরকে শোয়া থেকে উঠিয়ে বসানো হল। যদিও তার শরীরিক অবস্থা কোন ভাবেই বসার মত ছিল না। তারপর তিনি কষ্ট করে হেলান দিয়ে বসলেন।

আমিনী সাহেব তখন কিভাবে স্টোক করেছেন সেই কথাটাই বারবার বলছিলেন। কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছিল। বললেন, এখন দেশের যে, অবস্থা বাইরের সমস্ত কাজ তো বন্ধ। এখন শুধুই মুতাআলা নিয়ে বস্ত থাকি। কখনো সারা রাত মুতায়ালা করি। সেদিন রাতে একটা কিতাব পড়ছিলাম। এর মধে হঠাৎ কি যেন হল চোখে আর কিছু দেখি না। সব কিছু ঝাপসা হয়ে গেল। আমি মুতাআলার মধে ডুবে ছিলাম। ‘আমি পড়ার মধ্যে ছিলাম।’ এই কথাটাই যেন বারবার বুঝানোর চেষ্টা করছিলেন উস্তাদকে। তবে কি তিনি ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে গিয়ে ছিলেন তার ফেলে আসা ছাত্রজীবনে, অনুভব অনুভুতিতে। হয়তো তাই।

মুফতি আমিনীর রাজনৈতিক পরিচয়ের চেয়ে তার ইলমি পরিচয়টা আরও অনেক বেশি বর্ণময়। ছাত্রজীবনে মুফতি আমিনী ও মাওলান আব্দুল হাই সাহেব যেই বছর মেশকাত পড়বেন, তখন মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী রহ. শাইখুল হাদীস রহ. কে বলে ছিলেন, ‘এই বছর আমার দুই ছেলে মেশকাত পড়বে তুমি তাদেরকে মেশকাতটা পড়াও’ উস্তাদদের কাছে তিনি এতটাই প্রিয় ছিলেন।

আজকের মুফতি আমিনী কি এমনি এমনিই তৈরি হয়েছে? এর পেছনে আছে মেহনত আর মুজাহাদার এক বিশাল দাস্তান। পড়াশুনা পাগল তিনি সারা জীবনিই। ছাত্রজীবনে মাঝে মাঝেই এমন হতো, কিতাবের বিভিন্ন জটিল বিষয় বুঝার জন্য তিনি শাইখুল হাদীসের বাসায় চলে আসতেন। এসে চুপ চাপ সিড়িতে দাঁড়িয়ে থাকতেন। অপেক্ষা করতেন, হুজুর কখন খানা খেতে বসবেন। এরপর শায়েখ খানা খেতে বসলে তখন গিয়ে পড়ার কথা বলতেন, নানান মাসআলা হল করতেন। বাসার অন্যরা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে বলতেন যে, না হুজুরকে বলো না। হুজুর খেতে বসুক আমি তারপর ঢুকবো। সুবহানাল্লাহ।

গভীর মুতালার অভ্যাস তিনি জীবনের শেষ পর্যন্ত ধরে রেখেছিলেন। আপনাদেরকে একটা নতুন তথ্য দেই। মুফতি আমিনী সাহেবের ইন্তেকালের কিছুদিন পূর্বে থানবী লাইব্রেরি থেকে মিশকাত শরিফের একটা শরাহ বের হয় তুহফাতুল আল মায়ি নামে। আট খন্ডের বিশাল এক আরবী শরাহ। এই কিতাবটা বের হওয়ার পরপরই কিভাবে যেন তিনি খবরটা পেয়ে যান। লোক মারফত এক সেট কিতাব নিয়ে মুতায়ালা শুরু করেন। অল্প কয়েক দিনের মধেই সর্ম্পণ কিতাব মুতায়ালা শেষ করেন।mufti amni_ourislam24

তিন.
শায়েখের ইন্তোকালের ঠিক এক সপ্তাহ পূর্বে আমিনী সাহেব খবর পেলেন, শায়েখের অবস্থা খুব খারাপ। এই খবর শুনেই সাথে সাথে শায়েখকে দেখতে তিনি বাসায় চলে আসেন। লম্বা একট সময় তিনি শাইখুল হাদীসের শিয়রে অবস্থান করেন। সার্বিক খোজখবর নেন। শায়েখ তখন একেবারেই অচেতন। শুধু সালাম বিনিময় ছাড়া আর কথা হলো না। সেটাই ছিল এই বিখ্যাত ছাত্র-উস্তাদের শেষ দেখা। এরপর আবার দেখা হল ৮ আগষ্ট। চাঁনতারা মসজিদের বারান্দায়। শাইখুল হাদীস তখন আর আমাদের মাঝে নেই। চলে গেছেন মাহবুবে হাকিকির সান্নিধ্যে।

শাইখুল হাদীস রহ. এর ইন্তেকালের পর রাহমানী পয়গামের স্মরণ সংখ্যায় মুফতি আমিনীর একটা লেখা আনতে গিয়েছিলাম হযরতের কাছে। দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল আমিনী সাহেব থেকে শাইখুল হাদীস রহ. সর্ম্পকে এক সাক্ষাৎকার নেয়ার। অপ্রত্যাশিতভাবে সেই সুযোগ এসে গেল।

যাওয়ার পর মুফতি আমিনীর দক্ষিণহস্থ মুফতি তৈয়ব সাহেব আমাকে হুজুরের কাছে নিয়ে গেলেন, পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমিনী সাহেব বললেন, কিভাবে লেখা নিবা? এক হতে পারে তুমি প্রশ্ন করলা, আমি উত্তর দিলাম। সেটা তুমি লিখে নিলা। আর আরেকটা হতে পারে, আমি তৈয়বকে বললাম, ও আমার থেকে শুনে একটা লেখা তৈরি করলো, পরে আমি সেটা পড়ে দরকার পরলে সংশোধন করে দিলাম।

আমার তো আগে থেকেই ইচ্ছা সাক্ষাৎকার নেয়ার। মনে হলো আসমানের চাঁদ লুফে নেয়ার সুযোগ আমার সামনে। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য আমার সাথে ছিলেন এক ভদ্রলোক। আমি কিছু বলার আগেই সে বলে বসলো তৈয়ব সাহেব লিখে দিলেই চলবে। আমিনী সাহেব বললেন আচ্ছা ঠিক আছে।

আমি আর কিছু বলার সুযোগ পেলাম না। বের হয়ে বললাম, ভাই কি করলেন এটা আপনি? আপনার জন্য আমি সাক্ষাৎকারটা নিতে পারলাম না। সে বললো, তুমি চিন্তা কর না। তোমার কয়টা সাক্ষাৎকার লাগবে? তোমাকে চার পাঁচটা সাক্ষাৎকার নেয়ার ব্যবস্থা করে দিবো। কিন্তু না। এর কিছু দিন পরেই মুফতি আমিনী সাহেব ইন্তেকাল করলেন। চারটি না পাঁচটা না, একটি সাক্ষাৎকার নেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়ার সার্মথ আর দুনিয়ার কারো থাকলো না..

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ