বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


মাহে রমজানে অধিনস্তদের  সাথে আচরণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

 

A Malaysian Muslim boy reads a copy of the Koran at his school's mosque during the holy fasting month of Ramadan in Bentong, outside Kuala Lumpur on June 15, 2016.  Islam's holy month of Ramadan is celebrated by Muslims worldwide marked by fasting, abstaining from foods, sex and smoking from dawn to dusk for soul cleansing and strengthening the spiritual bond between them and the Almighty. / AFP PHOTO / MOHD RASFAN

আল আমিন আলম : রমজান মাসে আমরা যেমন রোজা রাখি তেমনই আমাদের অধীনস্থরাও রাখে। বিশেষ করে বাড়ির গৃহকর্মী, ড্রাইভার, ও নিরাপত্তা রক্ষী। আর রোজার সাথে সাথে শারীরিক অবসাদ ও ক্লান্তিবোধ চলে আসে সবার মাঝে। এ জন্য রমজান মাসে আমাদের ঘরের এই সমস্থ মানুষজনদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া চাই।

কোনো কোনো পরিবারে গৃহকর্মী মাত্র একজন থাকে, আবার কোথাও হয়ত  খণ্ড সময়ের জন্য থাকে। তারা যদি রোজাদার হন তাহলে তাদের প্রতি ঘরের অভিভাবকদের কিছু দায়িত্ব চলে আসে। সেটি হচ্ছে, কাজেকর্মে তাদের সহযোগিতা করা। অর্থাৎ যে কাজটি সে একা করত, সেটিতে বাড়ির মানুষদের নিজেদের সাহায্য করা যা অন্য মাসে আমরা সাধারণত করি না।  এছাড়া রোজা অবস্থায় নির্ধারিত দায়িত্ব থেকে তার সেবা কিছু কম গ্রহণ করেও এটা করা যায়। অর্থাৎ অন্যান্য সময়ের হিসাব ধরে রমজানে তাকে সবটুকু কাজ করতে বাধ্য না করা।

আরও উত্তম হয় যদি রমজানে তার সেবার বিনিময়ে অন্যান্য মাসের তুলনায় পারিশ্রমিকও কিছু বাড়িয়ে দেয়া। রোজাদার গৃহ কর্মী, গৃহকর্মীও আল্লাহর বান্দা -এ অনুভূতি  অন্তরে জাগ্রত রেখে রমজানে তার প্রতি যতটুকু সদয় হওয়া যায়। এভাবে অধিনস্তদের ব্যাপারে সদয় আচরণ রমাজানে ছওয়াব হাসিলের এক বিশাল উপলক্ষ হতে পারে।

একইভাবে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রমজানে রোজাদার কর্মচারীদের ওপর কাজের চাপ কমানোর অনেক বড় আমাল হতে পারে। সাধারণ সময় আর রমজান এর ব্যবধান আকাশ পাতাল। একজন রোজাদার অন্য সময় যা পারে রমজানে সেই পরিমাণ কাজ কোনোভাবেই পারবে না এটা অবশ্য মানবিকতারও দাবি। সারাদিন অনাহারে থাকা একজন ব্যক্তির কাছে ওই পরিমাণ কাজ আশা করা যা সাধারণ সময়ে করা হয়। আশা করা যায় আল্লাহ্‌ তায়ালা বরকত দিবেন।

আর এ ক্ষেত্রে একটি বিষিয় কর্মচারীদেরও খেয়াল রাখা চাই। যাতে রমজানের উসিলায় কাজে কোন রকম গাফিলতি না হয়। যে ধরনের চুক্তিতে আমি কাজ শুরু করেছি ওভাবেই কাজ করা চাই। আর প্রতিষ্ঠানের মালিকও এ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন যেন রমজান উপলক্ষে তার অধিনস্ত কর্মীরা কিছুটা সুবিধা পান।

/আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ