শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


শূকরের মাংসে ক্যান্সার ঝুঁকি : কুরআন কী বলে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

3_Baconসাইফুল ইসলাম রিয়াদ  : সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (HWO-ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন) রিপোর্টে বলা হয়েছে, যারা নিয়মিত শূকরের মাংস খায় তাদের ক্যান্সারে ঝুঁকি রয়েছে প্রকট। এ ধরণের প্রসেসড ফুডে ক্যান্সারের মত মরণব্যাধি গ্রাস করতে পারে যে কোন ব্যক্তিকে।

রিপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্যে বলা হয়, অ্যাসবেসটস এবং আর্সেনিকের মত ক্ষতিকারক পদার্থ থাকার ফলে মানব অঙ্গে নিরবে ক্ষতের সৃষ্টি ঘটায়।

গবেষকরা বলেন, এর ক্ষতিকারক দিক সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্য থেকেও ভয়ানক। যা একজন সুস্থ্য মানুষকে ধীরে ধীরে মৃতু্ মুখে ঠেলে দেয়। অথচ আমেরিকান বাজারে বহুল বিক্রিত খাবারের মধ্যে জনপ্রিয় হল এই শূকরমাংস। অনেকের কাছেই খাবারটি দারুণ মুখরোচক। তবে শূকরপ্রেমীদের জন্য এটি হতাশার দুঃসংবাদ। সূত্র : জিনিউজ

সম্প্রতি এ প্রকাশিত প্রতিবেদনটি হুবহু আল্লাহর নির্দেশিত বাণীর সঙ্গে মিলে যায়। আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে তাই হালাল কেরেছেন যা মানুষের জন্য কল্যাণকর। আর যা হারাম তা মানুষের জন্য বিপদজনক। শূকরের মাংসও এদের একটি ।

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, “অবশ্যই তিনি মৃত, রক্ত ও শূকরের মাংস এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে বলি দেয়া জন্তু হারাম করে দিয়েছেন...” [বাকারা ১৭৩]

এ মাংস মানুষের জন্য বিপদজনক হওয়ার আরও চারটি কারণ

এতে চর্বি উৎপাদনের উপাদান প্রচুর
শুকরের মাংসে পেশি তৈরির উপাদান অত্যন্ত নগণ্য পরিমাণ। পক্ষান্তরে চর্বি উৎপাদনের উপাদান প্রচুর। এ জাতীয় চর্বি বেশিরভাগ রক্ত নালীতে জমা হয়, যা কারণ ঘটায় হাইপার টেনশান এবং হার্ট এটাকের। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ৫০ ভাগ আমেরিকান হাইপার টেনশানের রুগী।

শুকর নোংরা ও পঙ্কিলতম প্রাণী

এ প্রাণীটি বসবাস করতে সাচ্ছন্দ বোধ করে নিজেদের বিষ্ঠা, মানুষের মল ও ময়লাপূর্ণ জায়গায়। আল্লাহ তাআলা সমাজবদ্ধ সৃষ্টিকূলের ধাঙর, মেথর বা ময়লা পরিষ্কারক হিসাবেই বোধকরি এ প্রাণিটি সৃষ্টি করেছেন। আজ থেকে পঞ্চাশ কি ষাট বছর আগেও যখন সেনিটারি পায়খানা আবিষ্কৃত হয়নি তখন যে কোনো শহরের পায়খানার ধরণ ছিল, পেছন থেকে মেথর এসে তা ট্যাঙ্কি ভরে নিয়ে যেত এবং শহরের উপকণ্ঠে কোথাও ফেলতো। যা ছিল শুকরদের পরম আনন্দ নিবাস এবং শেষ পর্যন্ত সেগুলোই সব বিষ্ঠার রুপান্তর ঘটতো।

অনেকেই হয়তো এখন বিতর্কে নেমে পড়বেন উন্নত বিশ্বে এখন শুকরের পরিচ্ছন্ন খামার করা হয়েছে যেখানে ওগুলো লালিত পালিত হয়। তাদের এই অনেক উন্নত, স্বাস্থ্যকর খামারেও ওগুলো নোংরা। অত্যন্ত আনন্দের সাথেই ওরা ওদের নিজেদের ও সঙ্গিদের বিষ্ঠা নিয়ে ওদের চোখ নাক দিয়ে নাড়া চড়া করে আর উৎসবের খাদ্য হিসেবেই খায়।

নির্লজ্জ পশু

ভু-পৃষ্ঠের ওপরে শুকর অশ্লীলতায় নির্লজ্জতম প্রাণী। একমাত্র পশু যেটা তার স্ত্রী-সঙ্গীর সাথে সংগম করার জন্য অন্যান্য পুরুষ-সঙ্গীদের ডেকে নেয়। আমেরিকার ও ইউরোপের অধিকাংস মানুষের প্রিয় খাদ্য শুকরের মাংস। খাদ্যভ্যাস আচরণে প্রকাশ পায়, বিজ্ঞানের এ সূত্রের জীবন্ত নমুনা ওরাই। ওদের প্রিয় সংস্কৃতি ডান্স পার্টিগুলোতে নেচে নেচে উত্তেজনায় উন্মত্ত হয় তখন একে অপরের সাথে বউ বদল করে। অনেকেই আবার জীবন্ত নীল ছবির স্বাদ দিতে জন্য স্ত্রীর সাথে মিলিত হতে বন্ধু-বান্ধব ডেকে নেয়। এসব প্রমাণ করে শুকরের মাংস মানুষকে নির্লজ্জতার দিকে ধাবিত করে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ