শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


একই বিল্ডিংয়ে তিন সময়ে ইফতার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

burj al khalifaজাকারিয়া হারুন : একই দেশ, একই স্থান, একই ভবন, এমনকি ছাদও একটাই। কিন্তু সেহরি ও ইফতারের তিন রকম সময়। বিস্ময়  হলেও এটাই সত্যি। বলছিলাম বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার কথা। এখানে ২০১১ সাল থেকেই সেহরি ও ইফতারের তিন রকম সময় চলে আসছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন। ১৬০ তলার এই বুর্জ খলিফা। উচ্চতা দুই হাজার ৭২২ ফুট। এই উচ্চতার কারণেই সেখানে সময়ের এই হেরফের।বিল্ডিংয়ের নিচতলায় যখন সূর্য ডুবে, ১৬০তম তলায় ডুবে এর তিন মিনিট পর। সূর্য উঠার সময় ঘটে উল্টো ঘটনা। তখন ১৬০ তলায় সকালটা তিন মিনিট আগেই হয়ে যায়।

সকাল-সন্ধ্যার এই হেরফেরের কারণেই সেখানে ইফতার ও সেহরির সময়েও ব্যবধান হয়ে থাকে। দুবাই ইসলামিক অ্যাফেয়ারস ডিপার্টমেন্টের ফতোয়া বোর্ডের প্রধান আহমেদ আব্দুল আজিজ আল হাদ্দাদ এমনটিই জানিয়েছেন।তিনি বলেন, ‘ভবনের উচ্চতার ভিন্নতার কারণে বুর্জ খলিফার বাসিন্দারা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ইফতার করেন। এছাড়া ফজরের নামাজ ও মাগরিবের নামাজ পড়েন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে।’

অবশ্য সময়ের এই হেরফের নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ আপনি যদি বিমানে ভ্রমণ করতে থাকেন, তবে যে এলাকার ওপর দিয়ে এটি উড়ে যাচ্ছে, সেখানকার ইফতারের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আপনাকে রোজা ভাঙতে হবে।

একই ভবনে সময়ের এই তারতম্য  প্রথমবারের মত জানতে পেরে বেশ অবাক হয়েছিলেন অনেকেই।বুর্জ খলিফার ৬১ তলায় অবস্থানকারী মোহাম্মদ বদর।বয়স ৩৭ বছর। সময়ের এ পার্থক্যে অবাক হয়ে বলেন, ‘আমি কিছুতেই ভেবে পাচ্ছি না, একই ভবনে অবস্থান করা সত্ত্বেও আমাদের ইফতারি ও সেহরিতে তারতম্য হবে কেন? কেননা ভবনের ৮০ তলার ওপরের দিকে যারা অবস্থান করছেন তাদের, আমাদের দু মিনিট আগে ইফতার করতে হচ্ছে। তখন ওপরের তলায় অবস্থানকারী রোজাদারদের জন্য আমার দয়া হয়।’

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর

 

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ